প্রতিপক্ষ কোচের নাক চেপে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ মরিনহো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিতর্ক যেন সবসময়ই হোসে মরিনহোর নিত্যসঙ্গী। একের পর এক কা- ঘটিয়ে বারবার শিরোনামে উঠে আসেন এই পর্তুগিজ কোচ। এবার তুর্কি কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর প্রতিপক্ষ কোচ ওকান বুরুকের নাক চেপে ধরার ঘটনায় বড় শাস্তির মুখে পড়লেন তিনি। তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গালাতাসারাই কোচের সঙ্গে অশোভন আচরণের দায়ে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফেনারবাহচের কোচ মরিনহোকে। এই সময়ে তিনি ড্রেসিংরুম ও ডাগআউটে থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি গুনতে হবে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ তুর্কি লিরা (প্রায় ৭ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা। ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার, গালাতাসারাইয়ের কাছে ২-১ গোলে হারে মরিনহোর দল ফেনারবাহচে। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামতে হয় পুলিশকেও। লাল কার্ড দেখতে হয় দু’দলের তিনজন ফুটবলারকে। সবচেয়ে বড় নাটক অবশ্য ম্যাচ শেষে ঘটে। ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে করমর্দনের সময় গালাতাসারাই কোচ বুরুকের কাছে গিয়ে আচমকাই তার নাক চেপে ধরেন মরিনহো। বুরুক সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঢেকে মাটিতে পড়ে যান। এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনার পর গালাতাসারাই ক্লাব কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মরিনহোর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করে। অপরদিকে ফেনারবাহচে দাবি করে, বুরুকই মরিনহোকে বারবার প্ররোচিত করছিলেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, ‘তিনি এমন অভিনয় করলেন যেন তাকে গুলি করা হয়েছে।’ তবে, সবকিছু পর্যালোচনা করে তুরস্কের প্রফেশনাল ফুটবল ডিসিপ্লিনারি বোর্ড মনে করে, বুরুকের প্ররোচনার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই শাস্তি কিছুটা কম রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত দেড় মাসে দ্বিতীয়বার নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন মরিনহো। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারিদের রুমে গিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানায় পড়েছিলেন তিনি। আপিলে সেই শাস্তি কমে আসে, তবে এবার আর ছাড় পেলেন না।