স্টাফ রিপোর্টার: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৭ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্রা। মাত্র ৫.৪ ওভারে দলীয় স্কোর ৫৮ রানে দাঁড় করান তারা। এরপরই জোড়া আঘাত হানেন টাইগার পেসার শরীফুল ইসলাম। প্রথমেই রবীন্দ্রাকে আউট করেন তিনি। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কিউই ওপেনার। এই ওভারের শেষ বলে দারণ এক ডেলিভারিতে অ্যালেনকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন শরীফুল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন শরীফুল ইসলাম। ১৬২ রানের লক্ষে খেলতে নেমে দলীয় ২৬ রানে বিদায় নেন লিটন দাস। ১০ রান করে এজাজ প্যাটেলের বলে আউট হন তিনি। সুযোগ পেয়ে সদ্ব্যবহার করতে পারেননি সৌম্য সরকার। কোল ম্যাককনচির বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি। বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েও ফিরে যান কট-বিহাইন্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। আউটি হওয়ার আগে তিনি ২১ বলে ২৩ রান করেন। সিরিজের মতো এ ম্যাচেও ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম। মাত্র তিন রান করে রাচিন রবীন্দ্রার বলে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ৪৬ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের জুটি বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৪৩ বলে ৬৩ রান সংগ্রহ করের তারা। এ সময়ই ছন্দপতন ঘটে। সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৩ রান। অন্যরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। ৩৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।