স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ক্রিকেটীয় কার্যক্রম। বাসায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটছে ক্রিকেটারদের। অলস সময়ে রঙ চড়াতেই গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তামিম ইকবালের সঙ্গে লাইভে হাজির হন মুশফিকুর রহিম। প্রায় এক ঘণ্টার আড্ডায় উঠে এসেছিল ক্রিকেটসহ মজার সব গল্প। দুজনই সম্মিলিতভাবে দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট যেন শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়া বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে।
মুশফিক বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা লকডাউনের মধ্যে আছি, আর আমাদের ডিপিএলের মাত্র একটা ম্যাচ হয়েছে। সবাই জানে প্রিমিয়ার লিগটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, ডিপিএল দিয়ে যদি আমাদের ম্যাচগুলা শুরু হয় বা টুর্নামেন্ট শুরু হয় তাহলে খেলোয়াড়দের জন্য বড়ো লাভ হবে। কারণ অনেক ক্রিকেটার আছেন যাদের ডিপিএল দিয়ে সংসার চলে। এই মুহূর্তে তাদের অবস্থা আরো অনেক করুণ। আমার মনে হয়, ডিপিএল শুরু হওয়া সবার আগে জরুরি।’
তামিমও সুর মেলান মুশফিকের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, ‘ডিপিএল দিয়েই শুরু করা উচিত। আমি নিশ্চিত বিসিবিও এটা দেখবে এবং বিবেচনা করবে। বিসিবি এখনও বলেনি যে, ওরা অন্য কোনো কিছু করবে।’
মুশফিকের ব্যাট কেনার আগ্রহ তামিমের
করোনা দুর্গতদের সাহায্যর্থে শিগগিরই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তুলতে যাচ্ছেন মুশফিক। গত শনিবার রাতের আড্ডায় তামিম জানিয়েছেন, মুশফিকের ব্যাটের নিলামে বিড করবেন তিনি। দুজনের আলাপের একপর্যায়ে মুশফিক বলেন, ‘দোস্ত আমি চাই ব্যাটটা তুই কিনে নে।’ এরপর তামিম বলেন, ‘আমি এটা বলতে চাইনি, আমি বিড করব। দেখা যাক।’ ক্রেতা বেশি দাম দিয়ে ব্যাট কিনুক এটাই চান মুশফিক। তাতে অসহায় মানুষ লাভবান হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই নিলামের বিস্তারিত জানা যাবে।
পেস বোলিংকরতেনমুশফিক!
একটা সময় ক্রিকেটের চেয়ে ব্যাডমিন্টনই প্রিয় খেলা ছিল মুশফিকের। বিকেএসপিতে ক্রিকেট-ফুটবল দুটিতে সুযোগ পেলেও ক্রিকেটই বেছে নেন। শুরুতে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পেস বোলিংও করতেন। পরে আসেন কিপিংয়ে। পেসার মুশফিককে দেখার স্মৃতি মনে করে তামিম জানিয়েছেন, অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে দুজন একসঙ্গে খেলার সময় পেসার মুশফিককে দেখেছেন তিনি। যার বোলিং অ্যাকশন ছিল সাবেক ইংলিশ ফাস্ট বোলার স্টিভ হার্মিসনের মতো! পরে মুশফিক জানান বিস্তারিত, ‘বোলিং করতাম কারণ তখন চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, ‘ওই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি?’ পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম।’