স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের কারণে গত দেড় মাস ধরে বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ। গোটা ক্রিকেট বিশ্বেও একই চিত্র বিরাজমান। করোনার সংকট কাটিয়ে কবে মাঠে গড়াবে ক্রিকেট, সেটি সবারই অজানা। তবে করোনার আতঙ্ক সর্বত্রই রয়েছে। কারণ উপসর্গহীন থেকেও অনেকে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ছেন। করোনা আক্রান্ত কি না, তা জানতে টেস্টের বিকল্প নেই। করোনা-উত্তর সময়ে মাঠে নামার আগে কোভিড-১৯ টেস্ট দিতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই টেস্ট করবে বিসিবি। শুধু ক্রিকেটার নন খেলার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সবারই টেস্ট করা হবে। যেখানে কোচ, ফিজিও, ট্রেনার, আম্পায়ারসহ সবাই থাকবেন এই টেস্টের আওতায়। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গতকাল জানিয়েছেন, খেলা শুরুর আগে সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই কোভিড-১৯ টেস্ট হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোভিড-১৯ টেস্ট হচ্ছে। বেসরকারিভাবে টেস্ট এখনো শুরু হয়নি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক আশা করছেন, আগামী এক মাস পর বেসরকারি হাসপাতালেও এই টেস্ট করা হবে। তখন সেখানেই তা সম্পন্ন করবে বিসিবি। বেসরকারিভাবে না করা গেলে বিসিবি থেকে টেস্ট করার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। ক্রিকেটাররা মাঠে ফেরার আগে যে কোনো উপায়ে টেস্টটা নিশ্চিত করতে চায় বিসিবি। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট শুরুর আগে টেস্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন দেবাশীষ চৌধুরী। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই উচিত (টেস্ট করা)। কোভিডের জন্য পিসিআর বা অ্যান্টিবডি টেস্ট, যে কোনো একটা টেস্ট করে ফেলা উচিত। সেটা শুধু ক্রিকেটার নয়, খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত ফিজিও, ট্রেনার, যারা আছে এবং আম্পায়ারদেরও টেস্ট করা উচিত।’ ঈদের আগে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ক্রিকেটাররা সবাই যার যার জায়গায় অবস্থান করছেন। অনলাইনে ক্রিকেটারদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে বিসিবি থেকে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের ধারণা, খেলা শুরুর আগে কোভিড-১৯ টেস্ট আরও সহজ হবে দেশজুড়ে। গতকাল দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত টেস্টটা বেসরকারি খাতে চালু হয়নি। বেসরকারি হাসপাতালেও চালু হয়ে গেলে আমরা এটা করবো। আর যদি এভাবে চালু না হয়, তাহলে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে করবো, অথবা আমরা সরকারের কাছে অনুমতি চাইবো টেস্ট করার। তবে অবশ্যই আমরা চাইবো খেলা শুরু হওয়ার আগে খেলার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট যারা আছে সবার নিরাপত্তার জন্য করোনা টেস্ট করা হোক।’ উল্লেখ্য, করোনার কারণে এক রাউন্ড পরই গত ১৯ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ এবং সব ধরনের ক্রিকেট।