স্টাফ রিপোর্টার: ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি হাঁকান মোহাম্মদ আশরাফুল। ঐতিহাসিক সেই ব্যাটটি নিলামে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দেশে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্যয় করতে চেয়েছিলেন লিটলম্যান। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। আগামী ১১ মে ‘অকশন ফর অ্যাকশনে’র পেজে নিলামে ওঠার কথা ছিলো আশরাফুলের ব্যাট। এর ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫ লাখ টাকা। তবে স¤প্রতি মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের নিলাম নিয়ে ‘উল্টাপাল্টা’ ঘটনা ঘটায় সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি। অনলাইন ই-কমার্স সাইট ‘পিকাবো’র মাধ্যমে নিলামে তোলা হয় মুশফিকের ব্যাট। এটি দিয়েই শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি। বাংলাদেশের হয়েও ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে কোনো ব্যাটসম্যানের যা প্রথম দ্বিশতক। স্বাভাবিকভাবেই মিস্টার ডিপেন্ডেবল প্রত্যাশা করেন, ব্যাটটি ভালো দামে বিক্রি হবে। হয়ও তা-ই। মুশফিকের ব্যাটটির দাম ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে শোনা যায়, সেটি নকল বিড ছিলো। এছাড়া এ নিয়ে কয়েকজন ভুয়া দাম হাঁকিয়েছেন। ফলে সাময়িক নিলাম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় নিলামকারী প্রতিষ্ঠান। এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কয়েকজনের ছলচাতুরির কারণে একটা মহৎ উদ্দেশ্য বিঘিœত হচ্ছে। স্বভাবতই বিস্মিত হয়েছেন আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা। মূলত এ কারণে নিজের প্রিয় স্মারক নিলামে তুলতে চাইছেন না আশরাফুল। তিনি বলছেন, উল্টাপাল্টা হলে এমন মূল্যবান ব্যাট নিলামে তোলার কোনো অর্থ নেই। আমাদের দেশে এখনও সেভাবে বিডের সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হলে ব্যাটটি নিলামে তুলবো।