আত্মগোপনে ছিলেন দেনার দায়ে জর্জরিত চুয়াডাঙ্গা হাসানহাটির জাকির
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশেই অপহরণ নাটক করেন চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি গ্রামের জাকির হোসেন। বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি এ পথ বেছে নেন। পুলিশ বলেছে, জাকিরের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জাকিরের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রাত ২টার দিকে ঝিনাইদহ শহর থেকে জাকিরকে উদ্ধার করা হয়। জাকিরের সাথে থাকা হাসান নামের এক যুবককেও হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের হাসানহাটি গ্রামের আরোব আলীর ছেলে জাকির হোসেন গত বুধবার শ্বশুরবাড়ি ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে শ^শুরবাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তারপর থেকে জাকিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের দু’দিন পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করে জাকিরের পরিবার।
এদিকে, জাকিরকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে ফোন করা হয়। জাকিরের মোবাইলফোনের মাধ্যমে কল দিয়ে পরিবারের কাছে দাবি করা হয় মুক্তিপণ। নিজের পরিচয় গোপন রেখে মুক্তিপণ দাবি করেন জাকির হোসেনের সহযোগী একই এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে হাসান আলী। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে তাদের ডেকে নেয়। পরে ঝিনাইদহ শহর থেকে জাকিরকে উদ্ধার ও হাসানকে আটক করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই জাকির ও হাসান তাদের অপহরণ নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন। জাকির বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা নিয়ে তা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। পরিবারের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য সে অভিনব এ পন্থা অবলম্বন করেন। এ ঘটনায় জাকিরের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং পরবর্তিতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর শর্তে মুচলেকা নিয়ে জাকির ও হাসানকে পরিবারের হেফাজতে দেয়া হয়।