স্টাফ রিপোর্টার: উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আলমডাঙ্গার যুগিরহুদা গ্রামের শরিফুলের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। গত রোববার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়। তবে, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর কারণে গ্রামে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনরা পড়ছেন বিভ্রান্তির মধ্যে। তবে, পেটে মারাত্মক অসুখ ও করোনার উপসর্গজনিত শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে সনদ প্রদান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শরিফুল ইসলামের বোন তাছলিমা খাতুন জানিয়েছেন, গত ২৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আলমডাঙ্গার যুগিরহুদা গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২১) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই করোনার উপস্থিতি শনাক্তের জন্য শরিফুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে মৃত্যু সনদ প্রদান করে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়- পেটে মারাত্মক অসুখ ও করোনার উপসর্গজনিত শ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু। পরে মরদেহ বাড়িতে নেয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন প্রশাসন, প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকদের ভুল তথ্য প্রদান করে। এছাড়া ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য দিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভূয়া খবর ছড়াতে থাকে। অথচ গত ২৮ জুন শরিফুলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। তাছলিমা খাতুন আরও বলেছেন, এ ঘটনায় তাদের পুরো পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। সমাজে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।