৭ বছরে ও চালু হয়নি কার্যক্রম : ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও

হাবিবুর রহমান হবি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা ৩১শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি ৫০ শয্যার  কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও জনবল না থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ৩১ শয্যায় ১০জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র তিনজন। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই অঞ্চলের সাধারণ রোগী।

জানা গেছে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তিনতলা বিশিষ্ট সুরম্য ভবন, ডাইডস ডর্মেটরি নার্সিং ও নার্সিং কোয়ার্টার নির্মিত হয়। পুরাতন ভবন ৩১ ও নতুন ভবন ১৯ শয্যা করে ৫০-এ উন্নীত করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০১৫ সালের ৭ জুলাই তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা আবু হাসানুজ্জামান নুপুরের নিকট ভবনটি হস্তান্তর কার হয়। প্রশাসনিক অনুমোদনে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে নতুন ভবনে সমস্ত কার্যক্রম চালু করা হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল, সরঞ্জামাদি, খাবার, ওষুধ বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন ভবনে ১৯ শয্যার কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। পুরাতন ভবনেই চলছে ৩১ শয্যার কায্যক্রম।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, একজন ইউনানি মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মবর্কা চালাচ্ছেন হাসপাতালটি। কাডিওলজিস্ট ডা. আবুল হোসেন, গাইনি হুসনে জারী তহমিনা ও মেডিকেল অফিসার লইলা শারমিন রয়েছেন, ডেপুটেশনে আরও দুইজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এছাড়া সার্জারি কনসালটেন্ট জুনিয়র ও এনেসথেশিয়া পদ শূন্য থাকায় পাঁচজন দিয়ে চালানো হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

গাইনি চিকিৎসক পদ শূন্য থাকায় উপজেলার অধিকাংশ গাইনী রোগীদের যেতে হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। জুনিয়র মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ও গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট থাকলেও দুজনই সাময়িক আদেশে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত। একইভাবে সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্টের একমাত্র পদের চিকিৎসক প্রেষণে কর্মরত রয়েছেন। একজন মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেশিয়া) সার্জনের পদ শূন্য। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ বলেন, হাসপাতালটি ৫০শয্যায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এখানে সমস্ত কার্যক্রম চালু করা হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল, সরঞ্জামাদি, খাবার ও ওষুধ বরাদ্দ না পাওয়ায় ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল, সরঞ্জামাদি, খাবার ও ওষুধ বরাদ্ধ পেলে ৫০শয্যার কার্যক্রম চালু করা হবে। চিকিৎসক সংকট থাকায় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা গেলে আরও বেশি মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে। মেডিসিন ও গাইনি চিকিৎসক পেলে সেবার মান বাড়বে ও রোগীদেরকে জেলা সদরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে তিনি জানান।

Comments (0)
Add Comment