দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা সদর, জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি এই ৪টি ইউনিয়নে আগামী ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইন-শৃংখলা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা সমবায় অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর, জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহাম্মেদ। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। এসময় অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুদীপ্ত কুমার, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লুৎফুল কবির ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইসহাক। সভায় ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীরা তাদের বক্তব্যে নির্বাচনে কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহাম্মেদ বলেন, ২য় ধাপের এই নির্বাচনে দামুড়হুদা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১১ নভেম্বর। আর এ নির্বাচনে চারটি ইউপিতে ভোট কেন্দ্র হবে ৫০টি, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬জন, সংরক্ষিত আসনে নারী ৫৪জন ও সাধারণ আসনে ১৭২জন, পিজাইডিং অফিসার ৫০জন, সহকারী পিজাইডিং অফিসার ৩৭৭জন, পোলিং অফিসার ৭৫৪জন। এ চার ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১লাখ ২৩হাজার ৫শ ৮জন। পুরুষ ৬২হাজার ৪৯০জন ও মহিলা ভোটার ৬১হাজার ১৮জন।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আবাদ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কঠোর ভূমিকায় থাকবে পুলিশ। ভোট কেন্দ্রে কোনোপ্রকার বিশৃংখলা করলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় যত আপরাধ সংঘটিত হয় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই এই নির্বাচনে সংবাদকর্মী, পিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বাদে যথা সম্ভব মোটরসাইকেল ব্যবহার থেকে আপনারা বিরত থাকবেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনোপ্রকার বিশৃংখলা সহ্য করা হবে না। এ নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বন্ধের বিষয়টি নিছক গুজব। যদি বিজ্ঞ আদালত থেকে নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা আসে তবেই নির্বাচন বন্ধ হবে। আর তেমন কোনো তথ্য এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। আমরা তথ্য পেলে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ।