শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্ত বন্ধে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে নেতৃবৃন্দের লিখিত

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি

দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তাতে দাবি করা হয়েছে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্ত। এ ঘোষণা দেয়ার জন্য মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দাবি করা হয়েছে। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের (ক) ও শ্রম আইনের ১৭৯ (ঞ) ধারা মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন পদ্ধতি রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা, প্রকৃতিক দুর্যোগ বা অনুরুপ কোনো কারণ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তা অবৈধ, অকার্যকর ও বাতিল বলে গণ্য হবে। সে মতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ বিগত কমিটির সভাপতি/সাধারণ-সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নিজেদেরকে ইউনিয়নের দায়িত্ব ও ক্ষমতায় আছে মর্মে প্রচারণা করছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। যার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও সাধারণ শ্রমিক সমাজ মনে করছে। শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা পূর্বক প্রকৃত অবস্থান বিজ্ঞপ্তি আকারে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে প্রকাশ করা জরুরি বলে মনে করে এবারের নির্বাচনের ৫৫জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৪জন স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের কাছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ আবেদনপত্র জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি প্রার্থী তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, আব্দুল মান্নান, সহ-সভাপতি প্রার্থী রেজাউল করিম, সহ-সম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরুক, ইদ্রিস আলী, শান্তি খান প্রমুখ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।