রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতাল অঙ্গন। সেখানে শিশু হাফসার সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে স্বস্তি পেয়েছেন চেনা জানা সকলে।
গত শনিবার দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিট রিকশাতে করে কোলের সন্তান হাফসাকে মা মুখে বাতাসের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রাখতে বাতাস দিতে দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রিকশার সিটের পাশে বসে শিশু সন্তানের বাবা সজল মাঝে মাঝে সন্তানের নাম ধরে জোরে ডাকছে মা মা বলে। তার শিশু সন্তানটি চিরতরে যেন ঘুমিয়ে না যায়। মা আদরের সন্তানটিকে বাঁচানোর জন্য সন্তানের মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমন ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকের প্রশ্ন ছিল-দুদিন পর শিশু হাফসা কেমন আছে। অবশেষে জানা গেল ২৩ দিন বয়সী হাফসা বেঁচে আছে। মায়ের এক ঘণ্টার লড়াই আর সেদিনের চিকিৎসকদের চেষ্টায় শিশু হাফসা এখন সুস্থ।
চিকিৎসকরা জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় শিশু হাফসার। একপর্যায়ে শিশু নিথর হয়ে পড়ে। মা রেশমা বিষয়টি বুঝতে পেরে কৃত্রিমভাবে শ্বাস দিতে দিতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। মায়ের বুদ্ধিমত্তা আর চিকিৎসক-নার্সদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে নতুন জীবন ফিরে পায় শিশুটি। শিশু হাফসা নগরীর বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার রেশমা-সজল দম্পতির কন্যা।
হাসপাতালের পরিচালক সাবেক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানি জানান, তিনি প্রথমে ঘটনাটি জানতে না। সোমবার জানার পর খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, শিশুটিকে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন দিতে পারায় রেসপন্স করেছে। এক ঘণ্টার চিকিৎসার পর শিশু কিছুটা সুস্থ হয়। এখন পর্যন্ত শিশুটি ভালো আছে।