আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বন্ধুর মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ২২ বছরের টগবগে যুবক সাগর। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা অপর বন্ধু সবুজ মারাত্মক আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সবুজকে মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের জগন্নাথপুর গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চক গোপিনাথপুর গ্রামের জেনারুল ইসলামের ছেলে সবুজ (২২) কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া ইবি থানার গোস্বামী দুর্গাপুর গ্রাম থেকে একটি পুরাতন অ্যাপাসি ফোরভি মোটরসাইকেল কেনেন। সবুজ তার বন্ধু রিফায়েতপুর সোনাইকান্দি গ্রামের মেজর আলীর ছেলে সাগর আলীকে (২২) সাথে নিয়ে আলমডাঙ্গার মোল্লা মটরসে মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে আসেন। এসব কাজ সেরে বিকেলে তারা দুই বন্ধু আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। সাগর সখ করে বন্ধুর মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তারা জগন্নাথপুর পৌঁছুলে তাদের সামনে একটি পাখিভ্যান পড়ে। ভ্যান গাড়িটি বাঁচাতে সাগর দ্রুত ব্রেক করলে মোটরসাইকেলটি সড়কের ওপরে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে মাথা ও মুখে মারাত্মক আঘাত পেয়ে দুজনে জখম হন। এসময় ঘটনাস্থলেই চালক সাগর মারা যান বলে স্থানীয়রা জানায়। স্থানীয়রা সবুজকে দ্রুত স্থানীয় ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সাগরের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুর একজন মারা গেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আরেক বন্ধু আহত সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত সাগরের পরিবারের নিকট সংবাদ দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর পরিবারের লোকজন আসে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।