স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল হত্যা মামলার সব আসামিকেই বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়ালিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, যুবলীগ নেতা ইয়ানুস শেখ, মাহফুজ আলী, আফজাল হোসেন ও বাদশা মিয়া।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের কাসারিপাড়ায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক (সাবেক সহপ্রচার সম্পাদক) শহিদুল ইসলামের বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল যোগ দেন। অনুষ্ঠান চলাকালে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করে তাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি করেন। এতে তার মাথা ও বুকে গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় বিপুলের স্ত্রী বিলকিস আরা বেলী বাদী হয়ে দুদিন পর জেলা মেহেরপুর যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সাজ্জাদুল অনাম, অর্থ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান, শহিদুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান ও তার শ্যালক আরিফুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে মামলা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হলে শহিদুল ইসলাম, তার ভাই বাদশা, ইয়ানুস, আফজাল, মাহফুজ ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পল্লব ভট্টাচার্য। আসামিপক্ষে ইয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ একাধিক আইনজীবী মামলা পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিচারক অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তীকালে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’