মেহেরপুর প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বিশিষ্ট সাংবাদিক মনির হায়দার বলেছেন, নবীন প্রবীণ সাংবাদিকদের ঘনিষ্ট সম্পর্কের মাধ্যমে সাংবাদিকতার পেশাগত উৎকর্ষতা উজ্জ্বল হবে। একসাথে চলার মাধ্যমে আরও উন্নতি কিভাবে করা যায় তা উভয়কে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত পরশু শুক্রবার রাতে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মেহেরপুর জেলা সদরের ইসলামনগর গ্রামের কৃতি সন্তান ও দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক মনির হায়দার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর জেলায় আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। মেহেরপুর প্রেসক্লাবে পৌঁছুলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। এর আগে তিনি মেহেরপুর সার্কিট হাউজে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। অত্যন্ত সাদামাটা মানুষ মনির হায়দার। রাষ্ট্রের এত বড় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকেও তার মধ্যে নেই কোন অহংকার নেই কোন কৃত্রিমতা। মেহেরপুর জেলার একজন মানুষ হিসেবে তিনি সবার সাথে অতি সাধারণ মানুষের মত আলাপ চারিতায় মুগ্ধ করে গেলেন সবাইকে। স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি যখন ৩০/৩২ বছর আগে এই প্রেসক্লাবে ছিলাম তখনও অন্য সংগঠন ছিল, বিভাজন ছিল। তবে নবীন-প্রবীণদের সমন্বয় সাধন করা গেলে সবার জন্য ভাল হয়। একটি অকৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পারস্পারিক হৃদতা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অগ্রজদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে এমন মানসিকতা থাকতে হবে নবীনদের। সাংবাদিকতা জানার বাইরেও ইতিহাস জানার আছে। যেমন-আজকে স্মৃতি চারণে আপনারা বলছেন যে এই প্রেসক্লাবের যাত্রা কিভাবে শুরু হয়েছিল। সেই সময়ের সাংবাদিকতার ধারা কেমন ছিল। চ্যালেঞ্জগুলো কেমন ছিল; এখনকার চ্যালেঞ্জগুলো কী। কি ধরনের ট্রান্সফরমেশন হয়েছে। এই শেয়ারিংগুলো খুব জরুরি। যারা অগ্রজ আছেন তারা নবীনদের কাছে জানতে চাইতে পারেন যে, তারা এখন কী চ্যালেঞ্জ ফেস করছে। সম্মিলিতভাবে সেগুলো মোকাবেলা করা, সীমাবদ্ধতাগুলো ফেস করা। সব মিলিয়ে কথা হচ্ছে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে আরও গভীর গাঢ় ও সৃদৃঢ় করতে হবে। দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য বিভাজন দূর করে ফেলা তেমন কোন কঠিন কাজ না। জেলার সব সাংবাদিকদের এক সুতোয় গাঁথার মাধ্যমে জেলাকে আরও এগিয়ে নিতে সবার প্রতি পরামর্শ দেন তিনি। শত সীমবদ্ধতার মাধ্যমে আমরা যদি মফস্বল সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন করতে চায়, টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে নিজেদের মধ্যে অকৃত্রিম বোঝাপোড়াটা সবচাইতে জরুরি। এই জায়গাটাকে আপনার সবাই আমলে নিবেন, গুরুত্ব দিবেন তাহলে সবার জন্যই ভাল হবে। আমি মনে করি এই বোধ আমার মধ্যেও আছে। নানা কারণে হয়তো তা বাস্তবায়ন হয় না। পেশাগত উৎকর্ষতা এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভাতৃত্ববোধের জায়গা আরও প্রসারিত করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেন ইয়ামিন মুক্তর সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্যে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের কার্যক্রম তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্টার নিউজ প্রধান ফারাবি হাফিজ, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের শুরুর দিকের স্মৃতি চারণ করেন সাংবাদিক মহসিন আলী আঙ্গুর, তুহিন অরন্য, মেহের আমজাদ। আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক রফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান, উম্মে রোজিনা, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহববু আলম, মুজিবনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মুন্সি উমর ফারুক প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সেরখানসহ মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।