মেহেরপুরে একটাকা কেজি কপি : একশ টাকায় ১০ কেজি আলু

মাজেদুল হক মানিক: মেহেরপুর জেলার পাইকারি বাজারে শীতকালীন সব ধরনের সবজি ও পেঁয়াজের দরে ধস নেমেছে। পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে পাইকারিতে প্রতিকেজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি একটাকা কেজি এবং ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ১০ কেজি আলু। গতকাল শুক্রবার গাংনী কাঁচাবাজারে পাইকারি প্রতি কেজি আলু ৮-১০ টাকা, পেঁয়াজ ২৫/২৬ টাকা, টমেটো ৮-১০ টাকা, শসা ১৫/১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পূর্বমালসাদ গ্রামের চাষী আতিয়ার রহমান জানান, তিনি এবার এক বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেন যার খরচ হয় প্রায় ৮০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি করে যে টাকা হয়েছে তাতে লোকসান হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। একই গ্রামের আলু চাষি কুদ্দুস আলীর। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করে চরম বিপাকে রয়েছেন। আলুর যা দাম তাতে ক্ষেত থেকে তুলে আনার শ্রমিক খরচই উঠছে না। সাহারবাটি গ্রামের সবিজ চাষি হাসিবুল ইসলাম জানান, গেল কয়েকদিন গবাদি পশুতে খেয়েছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি। পরবর্তী আবাদ করার জন্য চাষিরা ক্ষেত পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। তাই অনেকেই ক্ষেত থেকে বিনামূলে কপি তুলে হাটে বিক্রি করছে। জানা গেছে, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় দর পতন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে সারা দেশে আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় মেহেরপুর জেলার সবজি খুব বেশি পরিমাণ অন্য জেলায় যাচ্ছে না। জানালেন গাংনী কাঁচা বাজারের পাইকারি সবজি আড়তদার নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, মেহেরপুর তহহাট ও গাংনী কাঁচা বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় প্রচুর পরিমাণে সবজি আবাদ হওয়ায় চাহিদা কমে গেছে। বাজারে বিপুল পরিমাণ সবজি আসলেও পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।