বারাদী প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামে বাড়ির পার্শ¦বর্তী পুকুরের পানিতে ডুবে সাইমন (২) নামের এক শিশুর নিভে গেলো জীবন প্রদীপ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে শিশুটির বাড়ির অদূরবর্তী একটি পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সাইমন কলাইডাঙ্গা পশ্চিম পাড়ার দিনমজুর হাসান আলীর একমাত্র পুত্র। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিলো শিশু সাইমন। হঠাৎ করেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তারপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে মুকুল মেম্বারের একটি অরক্ষিত পুকুরে তার ভাসমান দেহটি দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে। পরে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু সাইমনের মরদেহ বাড়িতে আসলে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনের কান্নার রোল পড়ে যায়। ফুটফুটে মাছুম বাচ্চার মুখটি একনজর দেখার জন্য ভিড় করে স্বজন ও প্রতিবেশীরা। শিশুটির লাশ দেখতে আসা এক প্রতিবেশী বলেন, পুকুরটি ঘেরা থাকলে বাচ্চাটির এমন করুণ মৃত্যু হতো না। বাড়ির কাছ থেকে মাত্র ১৫-২০ গজ দূরে পুকুরটি এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় রাখা ঠিক হয়নি। একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল পিতা হাসান আলী ও মা প্রিয়া খাতুন। দাদা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এভাবে আমাদের একমাত্র বুকের ধন হারিয়ে যাবে স্বপ্নেও ভাবিনি। বাদ আছর জানাজা নামাজ শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মেহেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।