মিরপুরে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া মিরপুরে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় ফারজানা নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া নতুনকুঁড়ি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত পরশু বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারজানা মারা যায়। ফারজানা (১৫) কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের চর নওদাপাড়া গ্রামের আনসার সদস্য বিল্লাল মোল্লার মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারজানা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে এমএস জোহা কলেজের ছাত্র শিপনের (১৮) সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে। গত ৭ এপ্রিল ফারজানা শিপনের কাছে চলে আসে। তারা পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে। তবে তাদের বিয়ের বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তা মেনে নিতে অস্বীকার করে ফারজানার বাবা মা। ফারজানার বাবা আলমডাঙ্গা থানায় মেয়ে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল দুপুরে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প টু আইসি এএসআই সোহেল বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নূর উদ্দিনের বাড়ি থেকে ভিকটিম ফারজানা এবং শিপনকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে বিকেলে পরিবারের জিম্মায় তাদের দিয়ে দেয় আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুর রহমান। ১০ এপ্রিল বিকেলে সকলের অগোচরে নিজের বাড়িতে ফারজানা বিষ পান করে। এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে ফারজানাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফারজানা মারা যায়। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় ফারজানার লাশ চর নওদাপাড়া গ্রামে পৌঁছুলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ পর জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে ফারজানার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।