মাতা-পিতার কবর জিয়ারত করে আব্দুর রাজ্জাক খানের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু : সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই পায়ে হেঁটে এমএ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি ছুটলেন মাতা-পিতার কবরের পাশে। কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জিয়ারতের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় মেতে ওঠেন ফ্রিজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী। দিনব্যাপী গণসংযোগের পর পলাশপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে (যে বাড়িটি সেই করোনাকাল থেকেই বিনাখরচে চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে) সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। এ সময় নিজের প্রতীকযুক্ত পোস্টার মেলে ধরে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গাকে চমৎকার স্মার্ট চুয়াডাঙ্গায় উন্নীত করার লক্ষ্যে আমার ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দিয়ে আসুন আমরা স্বস্তির সুন্দর চুয়াডাঙ্গা গড়ে তুলি।
কলেজ জীবন থেকে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবিরাম লড়ে যাওয়া লড়াকু এমএ রাজ্জাক খান রাজ সিঙ্গাপুর থেকে ম্যাকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে দেশে ফেরেন। ইসলামি স্টাডিজ বিজনেস বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ইসলামিক বিজনেস ইথিকস অ্যান্ড ইসলামিক পাসটেক্টিভ ইথিকসে এমফিল করেন। সততা দক্ষতা আর কমিটমেন্টে অনড় থাকার মধ্যদিয়ে তিনি ব্যবসায় সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছুনোর মধ্যদিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তোলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রতীক পেয়েছেন ফ্রিজ। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের সামনে নিজের প্রতীকযুক্ত পোস্টার মেলে ধরে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান একেবারে তলানিতে। অবস্থা দেখে কষ্ট হয়। শিক্ষার মান কোন পর্যায়ে তাও নিশ্চয় সচেতন সমাজের অজানা নয়। দেশের উন্নয়ন কতোটা তরান্বিত হয়েছে, সেই তুলনায় চুয়াডাঙ্গার অবস্থা কোথায় তা দেখে নিশ্চয় নেতৃত্বের পরিবর্তন চান সকলে। এটা শুধু মুখে বলে নয়, কাজের মাধ্যমে আমাদের করতে হবে। পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা চুয়াডাঙ্গাকে দেশের মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী জেলায় রূপান্তর করতে চাই। চুয়াডাঙ্গা-১ নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের সর্বসাধারণ আমার সাথে রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ, এলাকাবাসীর চাওয়া আর আমার চাওয়া অভিন্ন। আসন্ন নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে পরিবর্তন এনে চুয়াডাঙ্গায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ উচ্চ শিক্ষার যেমন দ্বার উন্মোচন করা হবে, তেমনই ক্যান্সার চিকিৎসার সরকারি হাসপাতালও গড়ে তোলার স্বপ্ন রয়েছে। প্রার্থী এমএ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, মসজিদ মাদরাসার উন্নয়নে সব সময়ই মুসল্লিদের পাশে থেকেছি। আগামীতেও অরও অনেক কিছু করতে চাই। বাংলাদেশ যে সময়ে দেশে ফ্রিজের মত পণ্য, এসির মতো পণ্য তৈরির কথা ভাবতে পারেনি, তখন আমি ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তুলে বৈদ্যুতিক পণ্যে দেশকে স্বর্ণিরতার পথ দেখেছি। মিনিস্টার মাইওয়ান প্রতিষ্ঠান এখন এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। দিন দিন এ প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়ছে। বাড়ছে কর্মসংস্থান। আমার ব্যবসার সফলতার মধ্যেই আমাকে সীমিত রাখলে ভালই থাকতে পারতাম। কিন্তু তা থাকিনি। থাকতে পারিনি। কারণে ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি সমাজের পিছিয়েপড়া মানুষগুলোর পাশে আমার পিতা-মাতাসহ আমার পরিবার কীভাবে কাজ করেছে। পারিবারিক সেই শিক্ষা আমাকে সেবার মানসিকতা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়েছে। সেবার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে যুক্ত। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেলে নিজ এলাকার তথা আমার জন্মভূমির উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি দেশের সাড়ে ৪ কোটি ব্যবসায়ীর প্রতিনিধিত্বে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি দেশের বলিবর ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, হকি ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও প্রশংস নিয়ো অবদান রেখে চলেছেন। ঢাকা মিনিস্টার বিপিএল টিম ও রাজশাহী মিনিস্টার বিপিএল টিম গঠনের মধ্যদিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বেগবান করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে কর্মী-সমর্থকদের জানালে তার নির্বাচনী এলাকার ২টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডেই পোস্টার মেরে উদ্বোধন করা হয় নির্বাচনী অফিস। করা হয় মিছিল। চাওয়া হয় ফ্রিজ প্রতীকে ভোট।
প্রসঙ্গত: প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়সভায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রাথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, একাত্তর টিভি প্রতিনিধি এমএ মামুন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর প্রতিনিধি এসকে লিটন প্রমুখ অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় নবীন প্রবীণ সাংবাদিকদের মধ্যে ৩২ জনের বেশি গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।