জীবননগর ব্যুরো: মাজদিয়া-দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গতকাল সোমবার টুঙ্গি-চ্যাংখালী পরিদর্শন করেছেন ভারতের কোলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হোসেন ও প্রথম বাণিজ্য সচিব শামসুল বারী। এর ফলে এ দুই দেশের মানুষ আবারও স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
জানা যায়, দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া পুরাতন একটি চেকপোস্ট ছিলো। এ চেকপোস্ট দিয়ে তৎকালীন সময়ে মানুষ যাতায়াতসহ কালীগঞ্জ হতে সরাসরি ভারতের মাজদিয়া পর্যন্ত বাস চলাচল করতো। প্রশস্ত রাস্তা এখনো বিদ্যমান। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সীমাহীন অসুবিধার মধ্যে পড়েন এ দুই দেশের আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ মানুষগুলোসহ এ পথ যাাতয়াতকারীরা। জীবননগর ও মাজদিয়ার মানুষ এই বন্দরটি চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ মহলে দেন-দরবার করে আসছেন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে স্থলবন্দর ঘোষণা দিয়ে এই বন্দরটি উদ্বোধন করা হয়; কিন্তু তারপরও অদৃশ্য শক্তির থাবার কারণে এ বন্দরটি আলুর মুখ দেখেনি। কী কারণে আলোর মুখ দেখছে না সেটাও এ উপজেলাবাসীর অজানা নয়। তারপরও থেমে নেই জীবননগর ও ভারতের টুঙ্গি, ধরমপুর, বানপুর ও মাজদিয়ার মানুষের। তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল ভারতের টুঙ্গি পরিদর্শন করতে আসেন ভারতের কোলকাতাস্থ বাংলাদেশী ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হোসেন ও প্রথম বাণিজ্য সচিব শামসুল বারী। এসময় বাংলাদেশের পদস্থ এ দুই কর্মকর্তা চ্যাংখালী নো-ম্যান্সল্যা-ও ঘুরে দেখেন। এর ফলে এ দুই দেশের মানুষ আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এ বন্দরটি দ্রুত চালু নিয়ে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয় জেলার কৃষ্ণগঞ্জের সাংবাদিক সুবল মজুমদার জানান, ভারত-বাংলাদেশর টুঙ্গি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশে স্থলবন্দর হবে এই নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে গতকাল পশ্চিম বঙ্গের নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ধরমপুর টুঙ্গি সীমান্ত পরিদর্শন করলেন কোলকাতাস্থ বাংলাদেশী ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হোসেন ও প্রথম বাণিজ্য সচিব শামসুল বারী। ডেপুটি হাইকমিশনার টুঙ্গিতে এসে পৌঁছুলে বিএসএফের পক্ষ হতে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এসময় তারা বিএসএফের আধিকারীকদের নিয়ে সীমান্ত পরিদর্শন করেন। বিএসএফ এসময় গেট খুলে দিলে ডেপুটি হাইকমিশনার জিরো পয়েন্ট চ্যাংখালী পর্যন্ত আসেন এবং ঘুরে দেখেন। এসময় এলাকাবাসীর সাথে তারা কথাও বলেন।
ডেপুটি হাইকমিশনারকে গ্রামবাসীরা জানান, এই স্থলবন্দরটি চালু হলে উভয় দেশে কম খরচে পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে। এর ফলে এলাকার বহু মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি উন্নয়নও হবে। এলাকাবাসী এ সময় এ স্থলবন্দরটি দ্রুত চালুর ব্যবস্থা নিতে ডেপুটি হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন বলে ভারতীয় সাংবাদিক সুবল মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।