কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফুল ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব (৫৪) হত্যাকান্ডের পর দ্রুততার সাথে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম। আটককৃত হলেন উপজেলার ফুলবাড়ীয়া এলাকার মোস্তফার ছেলে জালামিন (১৫)।
জানা যায়, নিহত আবু তৈয়বের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায়। সেখান থেকে ১৪-১৫ বছর পূর্বে উপজেলার আমলা এলাকায় চলে আসেন এবং অঞ্জনগাছি গ্রামে নার্সারি ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তৈয়বের নার্সারিতে এই জালামিন (১৫) নামের ছেলেটি কাজ করতো। প্রতিনিয়ত দেরি করে কাজে আসায় আবু তৈয়ব তাকে বকাঝকা এমনকি মারধর পর্যন্ত করতেন। গত ১৭ নভেম্বর সকালে জালামিন দেরি করে কাজে গেলে সেদিনও কথা কাটাকাটি গালমন্দ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে জালামিনের আরও রাগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই তিনি ভারতের চ্যানেল সনি আর্ট থেকে সিআইডি সিরিয়াল দেখে হত্যার পরিকল্পনার করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার পরে একাধিকবার মোবাইলফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে কৌশলে ভিকটিমকে শিমুলতলা মাঠের মধ্যে ডেকে আনে। নিহত তৈয়ব মাঠের মধ্যে এলে আসামি জালামিন তাকে পেছন দিক থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তৈয়ব মাটিতে পড়ে গেলে জালামিন একাধিক আঘাতের মাধ্যমে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে বলে জানা যায়। এছাড়া তিনি আরও জানান, আসামি জালামিন হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় গত ২২ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।