জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার আলোচিত পদ্মা-গঙ্গা বিল সংলগ্ন পাথিলা ফার্মের ১০ নম্বর ডিপটিউবওয়েলের পাশের ব্রিজের গার্ডারসহ পাটানতন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল হতে ব্রিজের এ পাটানতন ভাঙার কাজে লিপ্ত রয়েছে। এর ফলে বর্ষা মরসুমে পদ্মা-গঙ্গা বিলের মাছ ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিলের মাছসহ জীব ও বৈচিত্র। পদ্মা-গঙ্গা বিলের ইজারাদারদের পক্ষ কাজী নাসির ইকবাল ঠা-ু এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন থেকে বাৎসরিক ইজারা নিয়ে পদ্মা-গঙ্গা বিলে মাছ করে আসা হচ্ছে। সম্প্রতি এ বিলের জলকরের মধ্যে ৬২ বিঘা পাথিলা ফার্ম দখলে নিয়েছে। তবে এ জলকরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিলের মাছ বিচরণ করে থাকে। শুষ্ক মরসুমে ফার্ম কর্তৃপক্ষ চাষাবাদ করে থাকে। ফার্মের ১০ নম্বর গভীর নলকূপের সন্নিকটে অবস্থিত ব্রিজের মুখে বিল কর্তৃপক্ষ বাঁধ দিয়ে বিলের মাছ রক্ষা করে আসছিলো। এ বাঁধ দেয়ার ফলে ফার্মসহ এলাকার কৃষি জমি জলমগ্ন হয়ে চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছিলো। এমন অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমীন ব্রিজের মুখের বাঁধ অপসারণ করেন। এ অবস্থার মধ্যে বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য শুক্রবার সকাল হতে ওই ব্রিজের গার্ডারসহ পাটানতন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সোন্দাহ গ্রামের মিজানুর রহমান, সলেমান, রুবেল, হামিদুল, আজিবুল, মশিয়ার রহমানসহ জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার শফি এ ব্রিজের পাটানতন ভাঙার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। বিল ইজারাদারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে পাথিলা ফার্ম কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা এ কাজ করছে বলে তারা ধারণা করছে। এ ব্রীজের পাটানতন ভেঙে নিচু করা হলে বর্ষা মরসুমে বিলের পানি প্রবল বেগে উজানে নেমে যাবে। ফলে উক্ত ¯্রােতের সাথে ভেসে যাবে বিলের মাছসহ জীব ও বৈচিত্র। এর ফলে বিল ইজারা কর্তৃপক্ষ মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিলের রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।