আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৫ ধাপে ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২দিন পর ১৩ নং মনোহরদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মনোহরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষ থেকে একটি ব্যালট বইয়ের অর্ধেক ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে। ৮ জানুয়ারি শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস খুলে আলমারি থেকে কাগজ নেয়ার সময় ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পান তিনি। এই ব্যালট বইটির নিচের অংশ থেকে ৫৯টি ব্যালট পেপার নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক মানোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে বই নিতে আসা অনেক অভিভাবকদের ব্যালট পেপারগুলো দেখান। এরপর সংবাদ দেয়া হয় পরাজিত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মাস্টারকে। সংবাদ পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক পেপার পাওয়ার বিষয়টি জানান। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল হক মাস্টারকে পরাজিত করে ঘোড়া প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নির্বাচিত হন।
এলাকাবাসী জানান, ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে মনোহরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মাস্টার নির্বাচনের পর থেকেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে আসছিলেন। গত শুক্রবার তিনি এই অভিযোগে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের একদিন পর মনোহরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়ায় তিনি যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সেটাই সঠিক বলে তিনি মনে করছেন।
শহিদুল হক মাস্টার বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করেন। তা না হলে ব্যালট বইয়ের প্রথম থেকে ব্যবহার না করে শেষ থেকে কেন ব্যবহার করবে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারের মোবাইরে কল দিলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।