আলমডাঙ্গা ব্যুরো: যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকার পথে চলাচলকারী আন্তনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল শনিবার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছিলো। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টায় স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইনের ওপর জড়ো হন। পরে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দাবির পক্ষে বক্তব্য ও সেøাগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আলী আগামীকালের মধ্যে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক গোলাম মোস্তফা বিশ^াস, আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুল করীম চঞ্চল, যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন, বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম, আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সভাপতি ইকবাল হোসেন, আলমডাঙ্গা গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হক রনি, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়া কল্যাণ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েবুজ্জামান সোহেল, সদস্য আব্দুর রশিদ মঞ্জু, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক ড. মাহবুব আলম, হারদী এমএস জোহা কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান, এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামীম, ক্রীড়া সংগঠন মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন মোল্লা, সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, ছাত্র সমন্বয়ক তৌহিদ মুসাব, আবিরসহ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম ও থানার ওসি মাসুদুর রহমান। মোবাইলফোনে সংযুক্ত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৪টার পরপরই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে লোকজন রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন শুরু করেন। বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আলমডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে রেলপথের ওপর কেউ কেউ শুয়ে পড়েন। ঘোষণা দেয়া হয়, রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ট্রেনের যাত্রাবিরতির নিশ্চয়তা না দেয়া পর্যন্ত ট্রেনটি চলতে দেয়া হবে না। পরে বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আলী সংযুক্ত হয়ে আশ্বস্ত করেন, রেল উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৬ জানুয়ারির মধ্যে আলমডাঙ্গায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করবেন। তবে সময়সূচি নির্ধারণ ও টিকিট মুদ্রণে তিনি প্রয়োজনীয় সময় দিতে আন্দোলনকারী কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন। এরপর আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটি, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতি, আলমডাঙ্গা গার্মেন্টস মালিক সমিতি, বৃহত্তর কাপড়পট্টি ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়া কল্যান কমিটি, উপজেলার ক্রীড়া সংগঠন ও খেলোয়াড়বৃন্দসহ আলমডাঙ্গার স্বর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।