স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ^াসের উদ্যোগ আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচলিয়া বাজারে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার দাবি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।’ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা একটি অন্যতম মাইলফলক উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবিতে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করলেও মূলত এই ৬ দফার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিলো বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা। বক্তারা আরও বলেন, ছয় দফা কর্মসূচি বাঙালির ‘মুক্তির সনদ’ হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ছয় দফা আন্দোলন ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক আধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রামের একটি টার্নিং পয়েন্ট। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে, তারা যদি ছয় দফা দাবি মেনে নেন, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান আর তাদের সঙ্গে থাকবে না। এর জন্যই ৭১ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশেদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য ও জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদেরসহ পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রশিদ মাসুম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা সভাপতি রুকসানা নাবিলা ছন্দা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া সাহাব, মহিলা নেত্রী চুমকি, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা যুবলীগ নেতা হাফিজুর ইসলাম লাল্টু, শেখ সেলিম, ডালিম, ফারুখ, সুমন, আকাশ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাহাবুল ইসলাম সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচলিয়া বাজারে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. পাপেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা উপজেলা কৃষকলীগ নেতা হায়দার আলী, কালিদাসপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, পাঁচলিয়া জামালউদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চান্দু মিয়া। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।