আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামে প্রবাসির ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যার বোরকা ধরে টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ বিবাহিত যুবকের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা যায়, ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের এক প্রবাসির ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যা প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সে সময় একই গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে উজ্জ্বল আলীর (৩০) মোটর সাইকেলের পেছনে তার বন্ধু একই গ্রামের বরকত হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (৩২) বসে ছিলেন। শিশুকন্যাটি তাদের অতিক্রম করার সময় মামুন হোসেন তার বোরকা ধরে টান দিলে বোরকা ছিঁড়ে যায়।
এ ঘটনা বাড়ি ফিরে জানালে শিশুকন্যার অভিভাবকরা স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বিট পুলিশ এসআই গিয়াস অভিযুক্ত ২ সন্তানের জনক মামুন হোসেন ও তার বন্ধু ১ সন্তানের জনক উজ্জ্বলকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংবাদ দেন।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মামুন হোসেনকে ১০ দিন ও উজ্জ্বল হোসেনকে ৭ দিনের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অভিযুক্ত দু’যুবক বিবাহিতই শুধু নয়, একাধিক সন্তানের বাবা হওয়া সত্বেও শিশুকন্যার সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেওয়াতে মানুষ তাদের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের যে শাস্তি হয়েছে তা যতেষ্ট নয় দাবি করে অনেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন।