প্রতারণা মামলায় ঝিনাইদহে সাবেক অধ্যক্ষের কারাদন্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: প্রতারণা মামলায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা মিঞা জিন্না আলম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামকে ২ বছর তিন মাস সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন ঝিনাইদহের একটি বিচারিক আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ এই রায় দেন। দ-িত তরিকুল ইসলাম হরিণাকুন্ডু উপজেলার মাঠ আন্দুলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৪/১৫ সালে বিএম শাখায় নিয়োগ দেয়ার নাম করে অধ্যক্ষ তরিকুল একই কলেজের শিক্ষক কোহিনুর আক্তারের কাছ থেকে দু’দফায় ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা নিয়েও কোহিনুর আক্তারের পরিবর্তে অন্যজনকে নিয়োগ দেন। প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের জন্য জন্য মিঞা জিন্না আলম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কোহিনুর ২০২১ সালে অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-সিআর-২৮৮/২১। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে আসামি তরিকুলকে দুই বছর তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড- ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামি পক্ষে অ্যাড. রবিউল ইসলাম ও বাদী পক্ষে অ্যাড. বুলু মিয়া মামলাটি পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে মিঞা জিন্না আলম ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা। ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হলেও নিরক্ষর সাব্দার হোসেন মোল্লাকে ডিগ্রি পাস দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডে সুপারিশ পাঠান দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ তরিকুল। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও একই সাথে বিদ্যুৎসাহী পদে মোস্তাফিজুর রহমানকে মনোনীত করেন। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট এই দুইজনের পক্ষে ডিও লেটার দেন তৎকালীন এমপি প্রয়াত আব্দুল হাই। সাব্দার হোসেন মোল্লাকে সভাপতি বানিয়ে ২০১৫ সালের জুন মাসে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নেন প্রায় কোটি টাকা। এই টাকা অধ্যক্ষ ও সভাপতি ভাগাভাগি করে নেন। এদিকে নিরক্ষর ও মুর্খ সাব্দার হোসেন মোল্লাকে গাড়াগঞ্জ গার্লস স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিরও সভাপতি বানানো হয়। সেখানেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখান এসএসসি পাস।