পুনর্বিবেচনার দাবিতে মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে গণমিছিল অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন

মেহেরপুর অফিস: জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাড. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে মেহেরপুর জেলা শাখার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মো. আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদকে। এছাড়া কমিটিতে মাসুদ অরুন, আমজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াছ হোসেন, মো. আলমগীর খান ছাতু, মো. আনছারুল হক, মো. আব্দুল্লাহ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. রেজাউল হক, মারুফ আহম্মদ বিজন, মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল হামিদ, মো. খাইরুল বাশার, মো. ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক হোসেন, মো. আব্দুল আওয়াল, মো. ইনছারুল হক, মো. আলফাজ উদ্দিন কালু, মোছা. রোমানা আহম্মদ, মো. আব্দুর রশিদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান বাবলু, মো. মকবুল হোসেন মেঘলা, মো. আখেরুজ্জামান, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম এবং মো. মশিউর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মেহেরপুর জেলা বিএনপি পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি যথাযথভাবে তার নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করবে। বিএনপির সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম থেকে জেলা পর্যন্ত সবকটি কমিটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে। এভাবে সুন্দর ও শক্তিশালী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে দল আরও সুসংহত হবে। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে একটি স্বৈরশাসক গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রেখেছিল। সবে দেশ মুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রকে মজবুত ও টেকসই করতে বিএনপি মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক ও অ্যাড. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে গঠিত আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও ফয়েজ মহাম্মদ এবং সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি মাসুদ অরুন এবং সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনকে সদস্য করা হয়। এই সাত সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির সাত জনকেই স্ব পদে বহাল রেখে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট এই পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। অপরদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল করেছে সদর উপজেলা বিএনপি। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর কাঁথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মীরা মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এরআগে কাথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পথসভা হয়। পথসভায় বক্তারা বলেন, ১৬ বছর যারা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে ছিল না তারা আজ আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এই আহ্বায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে নিয়ে আসছে। এ কমিটি আমরা মানি না, কমিটি হবে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জনগণের সামনে, জনগণের কথায় হবে শেষ কথা। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা দেখলাম সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ভোরে তাকে দুইটি মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের ডান্ডা বাড়ি দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ডক্টর ইউনুসকে অসুস্থ শরীর নিয়ে আটতলায় হেঁটে হাজিরা দিতে হয়েছে। তাকে এত কিসের প্রোটোকল। এখনো আওয়ামী লীগের দোসরা প্রশাসনের ভেতরে ঘাপ্তি মেরে আছে। এদের তালিকা প্রস্তুত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে।