স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ তিন জেলায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরপুর গ্রামে চার বছরের এক শিশু, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে ২ বছরের এক শিশু এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানিতে ডুবে ১৩ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরপুর গ্রামের জিশান আহাম্মেদ নামের চার বছরের শিশু মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে সারা গেছে। সে পিরপুর গাংপাড়া গ্রামের রাজুর ছেলে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে পিরপুর ব্রিজের নিকট পিকনিকের ট্রলার দেখতে গিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে মারা যায় শিশু জিশান। স্থানীয় জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে নৌকায় দামুড়হুদার দিকে একটি পিকনিক পার্টিতে যাচ্ছিলো। শিশুটি ওই পিকনিকের মাইকের গানের আওয়াজ শুনে নদীর ধারে ছুটে আসে। এসময় সে নদীর কিনারা দিয়ে হাটতে হাটতে অসাবধনতাবসত নদীর পানিতে পড়ে যায়। এরপর থেকে পরিরারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পায়নি। পরে দুপুর ১টার দিকে দামুড়হুদার জুড়ানপুর কয়লাখালি ব্রিজ নামক স্থানে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, মেহেরপুরের গাংনীতে পানিতে ডুবে লিলুফা খাতুন (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। লিলুফা খাতুন হাঙ্গাভাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার মিন্টু মিয়ার মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, লিলুফা খাতুন বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে খেলা করছিলো। এরপর সবার চোখের আড়াল হয়ে যায় লিলুফা। প্রায়ই ৩ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের পুকুরের পানি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিলুফা খাতুনের মা তাসলিমা খাতুন জানান, আমার মেয়ে দুপুর ৩টার দিকে বাড়ির নিকটে একটি পুকুর পাড়ে খেলা করছিলো। এসময় আমি বাড়ির কাজ করছিলাম। ৩ ঘণ্টা যাবত খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় কয়েকজন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান।
অপরদিকে, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানিতে ডুবে আহাদ হোসেন নামে ১৩ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের কৃষক রুবেল ম-লের ছেলে। পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, শিশুটি খেলতে খেলতে ঘরে পাশে কলের গর্তে পড়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে ভেসে থাকতে দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার ও পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।