চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ঘটনায় পিতা পক্ষের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি গ্রামের গৃহবধূ জয়া বিশ্বাস আত্মহত্যা করেননি বলে দাবি করেছে তার পিতাপক্ষ। তারা বলেছেন তাকে হত্যা করে রান্নাঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে তাদের জামাইসহ পরিবারের লোকজন। এরপর থেকেই তাদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সবাই গাঢাকা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে রান্নাঘরের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূর পিতাপক্ষের দাবি পরকীয়া দেখে ফেলায় জয়াকে হত্যা করে রান্নাঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাসানহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ জয়া বিশ্বাস (২০) ওই গ্রামের বাসুদেব বিশ্বাসের স্ত্রী এবং রাজবাড়ী পৌর এলাকার লক্ষ্মীকোল হরিসভা গ্রামের দুলাল সরকারের মেয়ে। জয়ার কোলে চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম নূপুর বিশ্বাস।
নিহত জয়া বিশ্বাসের পিতা দুলাল সরকার ও মা আন্না রানী সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘জামাই বাসুদেব বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে জয়ার ওপর নির্যাতন চালাতো। কয়েকবার তাকে টাকাও দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। ছোটখাটো বা তুচ্ছ বিষয় নিয়েই জয়াকে মারধর করতো জামাই বাসুদেব। তারা অভিযোগ করে বলেন, বাসুদেবের বড় ভাই হারাধন বিশ্বাসের স্ত্রী মনজু বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের জামাই বাসুদেব বিশ্বাসের পরকীয়া সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাদের একান্তে থাকার দৃশ্য দেখে ফেলার কারণেই জয়াকে হত্যা করে রান্না ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে পরিবারের সবাই। তাইতো মৃত্যুর পরও আমাদেরকে জানানো হয়নি। পরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা রাজবাড়ী থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসি। গতকাল বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মেয়ে জয়া বিশ্বাসের লাশ নেয়ার জন্য প্রতীক্ষা করছিলেন জয়ার পিতা-মাতাসহ পবিবারের অন্য সদস্যরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, জয়াকে হত্যার পর বাসুদেবরা সপরিবারে গাঢাকা দিয়েছে। বাড়িতে কেউ নেই। আমরা সহজে ছাড়ছি না। আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আজ (বুধবার) লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এর রিপোর্ট হাতে পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যদি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’