নিহত আ.লীগ নেতাকে হিন্দু সাজিয়ে ভারতে অপপ্রচার : ঝিনাইদহে ক্ষোভ-প্রতিবাদ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বহুল আলোচিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের নিহত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ৫ আগস্ট জেলা শহরের স্টেডিয়ামপাড়ায় (সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন) নিজবাড়িতে হিরণকে হত্যা করা হয়। এরপর শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে পায়রার গলায় ঝুলিয়ে রাখা হয় তার লাশ। হিরণের নির্মম পরিণতির সেই দৃশ্য ওইদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একদিন পর পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি নিজ গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের মাঝে দাফন করা হয় তার (হিরণ) লাশ।
এদিকে ঘটনার ৫ মাস পর ১৬ জানুয়ারি সকালে আদালতের নির্দেশে হিরণের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয় ও ময়নাতদন্ত করা হয়। বিষয়টি ভিন্নভাবে ভারতের বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি গ্রামের মৃত মুন্সি শাহাদাৎ হোসেন ও জবেদা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে হিরণ। হিরণ মুসলিম হলেও তাকে অমুসলিম আখ্যা দিয়ে গুজবের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
পোড়াহাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা জানান, ফুরফুরা শরিফের মুরিদ ছিলেন হিরণ। ভারতীয় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হিরণকে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে দেখানোর বিষয়টি ন্যক্কারজনক। পোড়াহাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মলিন কুমার কু-ু জানান, হিন্দু কখনোই আলহাজ হয় না। হিরণ হাজি ছিলেন এবং তাকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হিরণের সম্পর্কে ভাতিজা সাইফুল আলম মিলনও একই কথা বলেন।