স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের ভিমরুল্লা গ্রাম থেকে এই পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী নির্বাহী কমিটির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। পদযাত্রাটি এক কিলোমিটার আসার পর স্থানীয় সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের পার্শ্ববর্তী মাঠে এসে থামে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক এমপি পাপিয়া। তিনি বলেন, ‘যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ একশ’ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কথায় কথায় সংবিধানের কথা বলে, ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে তারা নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে খালি সংবিধানের দোহাই দেয়। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না দেয়া হয়, আমরা কখনো এই সরকারের প্রহসনের নির্বাচনে আসবো না, এমনকি আর প্রহসনের নির্বাচন করতেও দেয়া হবে না।’ পাপিয়া আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনকে কৃষিক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছেন। সেখানে আম কাঁঠালের বাগান আর হাঁস-মুরগি পালছেন। আমরা ১৯৭১ সালে লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, ভোটাধিকারের জন্য। কিন্তু এখন নিশি রাতে ভোট হয়ে যায়। ভোটাধিকার নেই সাধারণ মানুষের। তাই সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ও দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রিনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম নজু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, আজিজুর রহমান পিন্টু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও আলমডাঙ্গা সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক রোকন, হাবিবুর রহমান বুলেট, রাফাতুল্লাহ মহলদার, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল-ডাল, আটা, চিনিসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দীদের মুক্তি ও ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশব্যপী বিএনপি ঘোষিত পথযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শেষ হয়। পদযাত্রায় কর্মসূচি শুরুতে মাসুদ অরুন বলেন ‘গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের যে লড়াই জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে দেশের কর্তৃত্ব জনতার হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে’।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতি মুরাদ আলী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরজুল্লা হক বাবলু মাস্টার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, রোমানা আহমেদ, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবদ্দিন মোল্লা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক রকেট, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিরসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় কেন্দ্র ঘোষিত কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির পদযাত্রায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। শনিবার সকালে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী বাইপাস সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হচ্ছিল। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য আমরা একত্রিত হচ্ছিলাম। সে সময় পুলিশ সাঁজোয়া গাড়িসহ এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বশিরুল আলম চাঁদসহ ১৫/২০জন আহত হয় এবং দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল সরকারসহ আনুমানিক ১৫জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও গত রাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল¬াশি করে এবং শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একে বিশ্বাস বাবু, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আন্টুসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। সদর, মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, খোকসা, কুমারখালী উপজেলার নেতাকর্মীরা আসতে পথে মধ্যে পুলিশ বেরিগেড দিয়ে মারধর করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম উল হাসান অপু, জেলা যুবদলের সভাপতি আল আমিন রানা, সিনিয়র সহসভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রাসেল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি, শহর যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক ওয়াকার পারভেজ জীবন, শহর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক সাগীর কোরাইশী, শহর ছাত্রদলের আহবায়ক ফয়সাল আহম্মেদ স্বজল, সদস্য সচিব কৌশিক আহম্মেদ, ছাত্রনেতা নাঈম শেখসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেলিম ভূঁইয়া সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ যে ন্যাক্কারজনকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল।