স্টাফ রিপোর্টার: ‘নিখরচায় ন্যায় বিচার প্রার্থীরা যাতে কোনোভাবেই অবহেলার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীসহ আমাদের সকলেরই দায়িত্বের অংশ। ফলে যে মামলাগুলো আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার আওতাভুক্ত ওই মামলাগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করা দরকার। প্রয়োজনে সুবিধাভোগীদের পর্যায়ক্রমে বৈঠকে আহ্বান জানিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানা যেতে পারে। লিগ্যাল এইড তালিকভুক্ত আইনজীবীগণের সাথেও মাঝে মাঝে বৈঠক করার গুরুত্ব রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভায় কমিটির চেয়ারম্যান বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার উপরোক্ত তাগিদ দিয়ে বলেন, নিখরচায় যারা বিচার প্রার্থী তাদের খরচ না হলেও সরকারের তথা জনগণের টাকা তো খরচ হয়। ফলে বিনা খরচে বিচার প্রার্থীদের বিচার যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকেই আন্তরিক দৃষ্টি দিতে হবে। সরকারি অর্থের অপচয় মানে জনগণের অর্থের অপচয়।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৬টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেলা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ। উপস্থিত থেকে অভিমত ব্যক্ত করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’র বিজ্ঞ বিচারক নুসরাত জেরিন, জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাড. আবু তালেব বিশ^াস, চুয়ডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন প্রমুখ।
সভায় গত সভার কর্যবিবরণী পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। আইনগত সহায়তা প্রদানের আবেদনপত্র সমূহের ওপর অবগতি ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিয়োগকৃত আইনজীবীগণের দাখিলী বিল অনুমোদন করা হয়। লিগ্যাল এইড কার্যক্রম বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বিষয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বলা হয়, জাতীয়ভাবে নির্দেশনা আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।