কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে দেড় মাস বয়সী শিশুর দেহেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিকে জেলায় একদিনে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে করোনা পরীক্ষার নমুনা নেয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
প্রিন্স নামের ওই শিশুকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু প্রিন্স কুষ্টিয়া শহরের বড় স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী মো. আকাশের ছেলে।
আকাশ জানান, দেড় মাসের সন্তান প্রিন্স কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। সোমবার তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে করোনা পজিটিভ আসলে তাকে করোনা ওয়ার্ডে নেয়া হয়। করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক ইফতেখার হাসান জানান, দেড় মাসের শিশুর করোনা সংক্রমণের ঘটনা কুষ্টিয়ায় এই প্রথম। শিশুটির জ্বর ও সর্দি আছে। এর বাইরে কোনো জটিল উপসর্গ নেই। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১১৯ জন। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ৩২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ৩৯ শতাংশ। এ সময়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচজন মারা গেছেন। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলার হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তি আছেন ১৩৫ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৭ জন। অন্যান্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১৮ জন ভর্তি আছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন রোগী।
রোববার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পুরো জেলায় চলছে কঠোর লকডাউন। মানুষকে ঘরে রাখতে সোমবার ভোর থেকেই মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কুষ্টিয়া শহরের প্রবেশমুখে আটটি স্থানে পুলিশ সদস্যদের কড়া পাহারা চলছে। কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ৬ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠেই আছে। করোনা প্রতিরোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।