দুর্গন্ধযুক্ত পচা হাড়গোড় ক্রয় বিক্রয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ : দুটি জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার পুরাতন স্টেডিয়াম এলাকায় ভাঙাড়ি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম এলাকার দুটি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে দীর্ঘদিন যাবত প্লাস্টিক ভাঙাড়ি ক্রয়-বিক্রয়র দোকানের আড়ালে দুর্গন্ধযুক্ত পচা হাড়গোড় ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তোলায় দুটি প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুঁইয়ার নির্দেশনা মতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি পুলিশ টহল দল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন যেমন চমৎকারভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিলো। কিন্তু ঠিক তার পাশেই মনির প্লাস্টিক ও মোল্লা প্লাস্টিক নামের দুটি দোকান ভাঙড়ি জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের আড়ালে এসব পচা দুর্গন্ধযুক্ত বিভিন্ন পশুর হাড়গোড় ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা জিনিসপত্র ক্রয় করে সেখানে গুদামজাত করতো। সকালে বিকেলে কিংবা দুপুরে এই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারী এবং সন্ধ্যায় বা সকালে হাঁটাহাঁটিকারী সুশীল সমাজের মানুষদের নাকে এসব পচা দুর্গন্ধ লেগে অনেকেই অসুস্থতাও বোধ করতেন। সেই সকল সুশীল সমাজের মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং পরিবেশ দূষণ ও ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার আঙিনা রাখিবো পরিষ্কার’ এই সেøাগানকে সামনে রেখে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ দুটি দোকানে অভিযান পরিচালনাকালে একাধিকবার দোকানদারকে খোঁজ করে এবং মোবাইলফোন করেও তাদেরকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এই দুটি দোকানের মালিকপক্ষের সামনে দরজা খোলা হয়। এ দোকানগুলোর দরজা খোলার সাথে সাথে পচা দুর্গন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সকলেই অসুস্থতা বোধ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এ সকল ভাঙড়ি দোকান মালিকদের খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের উপস্থিতিতেই এসব পচা হাড়গোড়গুলো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ময়লা ফেলা গাড়ির সহযোগিতায় জব্দ করা হয় এবং সেগুলো নিরাপদ স্থানে মাটি চাপা দিয়ে (ধ্বংস) রাখা হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে মনির প্লাস্টিকের স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেনকে ১০ হাজার টাকা এবং মোল্লা প্লাস্টিক এর মালিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে পরবর্তীতে এই ধরনের পচা হাড়গোড় দোকানে রাখা যাবে না বা পচনশীল দুর্গন্ধযুক্ত কোনো জিনিস রাখলে দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।

Comments (0)
Add Comment