কাউন্সিলে সভাপতি খাজা হাসনাত সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকারসহ সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার আওয়ামী লীগ হরণ করেছে; যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। আওয়ামী লীগের জনগণের ওপর আস্থা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছেন, একবার সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করেন না। উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে, বিএনপি নেই একথাগুলো প্রায়ই বলে থাকেন, তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন পাচ্ছেন? কাউন্সিলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যারা নির্বাচিত হবেন এবং যারা হতে পারবেন না সকলে একসাথে কাজ করবেন। দুঃসময়ে যারাই দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করছেন প্রত্যেককেই মূল্যায়ন করা হবে। কাউন্সিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দর্শনা থানা বিএনপির প্রধান সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, জেলা বিএনপির সদস্য ও জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন খান খোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান কবীর, আবু বকর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, মাহতাব উদ্দিন চুন্নু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য রাফিতুল্লাহ মহলদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান লিপ্টন, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন তোয়া ও নুর নবী সামদানী। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, দর্শনা থানা বিএনপির সমন্বয় টিমের সদস্য আহাম্মদ আলী,আক্তার হোসেন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল আলম জোয়ার্দ্দার বিলু, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, দর্শনা থানা বিএনপির সমন্বয় টিমের সদস্য আব্দুল হাই, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক জুয়েল মাহমুদ,দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান মিলন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী মজনু, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাফিউল ইবনে লিমন, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ হোসেন, দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান ও সদস্য সচিব পলাশ আহমেদ। কাউন্সিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আজিজুল হক। শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি মাহমুদ হাসান খান বাবু। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। আলোচনা শেষে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন। নির্বাচন কমিশন এ দায়িত্ব পালন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল, সহকারী কমিশনার অ্যাড. অহিদুল আলম খন্দকার মানি ও সহযোগী সদস্য জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম। দর্শনা থানা বিএনপির শীর্ষ ৫ পদের মধ্যে শুধুমাত্র সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক পদে নির্বাচন হয়। অন্য ৪ পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিায় নির্বাচিত হন। সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক পদে মো. খায়রুল ইসলাম যুদ্ধ ও আশরাফুল হক মাসুম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে খায়রুল ইসলাম যুদ্ধ নির্বাচিত হন। দর্শনা থানা বিএনপির নবনির্বাচিত ৫ জন হলেন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মো. আক্তার হোসেন, সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম যুদ্ধ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল জোয়ার্দ্দার মুহিত।