দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুমারীদহ মাঠে নিয়ে গৃহবধূকে (৩২) জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে ২জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা গৃহবধূ (৩২) ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানা এলাকার আলমগীরের (৩২) কাছে ৪০ হাজার টাকা পান। ধর্ষিত গৃহবধূ মামলার ২নং আসামি আলমগীরে কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে জানায় মামলার ১নং আসামি দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চায়ের দোকান মোড়পাড়ার মৃত ইউনুছ ফকিরের ছেলে নাসিরের (৫৫) মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করবে। ১নং আসামির সাথে যোগাযোগ করে টাকা চাওয়া হলে সে বিভিন্ন তারিখ ও দিন দিয়ে ঘোরাতে থাকে। এমতাবস্থায় গত বুধবার ১নং আসামির সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় আজ বিকেলে আলমগীর জয়রামপুর আসবে যদি গৃহবধূ জয়রামপুর আসে তাহলে টাকা আদায় করে দেবে। ওইদিন বিকেল অনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়ি থেকে রওনা হয়ে জয়রামপুরে ১নং আসামির বাড়ি যান। এ সময় নাসির তাকে আলমগীর জয়রামপুর কাঁঠালতলা মোড়ে এসছে বলে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয়ে জয়রামপুর কাঁঠালতলা মোড়ে যায়। সে সময় আলমগীর তার এক আত্মীয়ের বাড়ি দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামস্থ কুমারী গ্রামে আছে বলে পায়ে হেঁটে তাকে নিয়ে সেখানে রওনা হয়। এমন সময় ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুমারীদহ গ্রামের ফাঁকা মাঠে একটি বাগানে নিয়ে ১নং আসামি নাসির গৃহবধূর সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি আমবাগানে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে নাসির অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলে। তাদের মোটরসাইকেলে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর গৃহবধূ তাদের কুমতলব বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল থেকে ঝাপ দিয়ে নেমে পড়ে। এ সময় ওই রাস্তায় চলাচলকারী একটি মোটরসাইকেল চালকের নিকট আশ্রয় নেয়। পরে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষিত গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়ি ফিরে গিয়ে সমস্ত ঘটনাবলী তার স্বামীকে জানায়। পরদিন তার স্বামী জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে লিটন (২৮) বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি (ধর্ষণ) মামলা দায়ের করে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।