স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার শিবপুরে ছয় বছর এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে গতকাল রাত ১০ টার দিকে দামুড়হুদা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বারেককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত বারেক (২৩) দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার অফিকুল ইসলামের ছেলে। আলামত সংগ্রহে শিশুটির আজ মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
শিশুটির পিতা জানায়, বাড়িতে টেলিভিশন না থাকায় প্রতিবেশী বারেকের বাড়িতে প্রতিদিন টেলিভিশন দেখতে যেতো আমার মেয়ে। সপ্তাহ খানেক আগে বারেক ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শিশুটিকে। এরপর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়। তিনি আরও বলেন, গত রোববার আমার মেয়ে খেলার করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় এলাকার বড় আপুদের নিকট তার যৌনাঙ্গে ব্যাথার কথা জানায় এবং পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। তখন তারা শিশুটির পরিবারকে জানালে শিশুটির মা তার যৌনাঙ্গ ফোলা এবং ক্ষত দেখতে পায় এবং বারেক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে বিস্তারিত জানায়। পরে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে গতকাল রাতেই শিশুটির পিতা বাদি হয়ে বারেককে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রাত ১১ টার দিকে দামুড়হুদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বারেককে গ্রেফতার করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, পরিবারের নিকট থেকে বর্ণনা শুনে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে। আগামীকাল গাইনী চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শিশুটির পিতা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।