স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ তিন মাদক কারবারিকে আটকের পর কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর ও কুড়ুলগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১১৬ গ্রাম গাঁজা, ২৫পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম ব্রোঞ্জ ও ইষ্ট ই-িয়া কোম্পানির এক পয়সার ৪টি কয়েন। দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও দর্শনা থানা পুলিশ। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আটক তিনজনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও ব্রোঞ্জ ও পয়সা উদ্ধারের ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের ঈদগাপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৫০), একই এলাকার মৃত আশা মন্ডলের ছেলে আদম আলী (৬০) এবং কুড়ুলগাছি গ্রামের তারিকুল ইসলাম তারিকের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন (৩০)।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাসের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল্লাহ, উপ পরিদর্শক আকবর আলী, উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন, দর্শনা থানার উপ পরিদর্শক আহম্মদ আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উজিরপুর ও কুড়ুলগাছি গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উজিরপুর গ্রামের ঈদগাপাড়ার আবুল হোসেনকে ১৯ গ্রাম গাঁজাসহ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদ- ও একশ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে একই এলাকার আদম আলীকে ৫ গ্রাম গাঁজাসহ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ২ মাসের কারাদ- ও একশ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে একই টিম কুড়ুলগাছি গ্রামের তারিকুল ইসলাম তারিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আটক করা হয় তারিকের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনকে। তার বসতঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ২৫ পিস ইয়াবা, ৯২ গ্রাম গাঁজা, ৫০০ গ্রাম ব্রোঞ্চ ও ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১ পয়সার ৪টি কয়েন। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিলুফ ইয়াসমিনকে এক বছরের কারাদ- ও একশ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস। ব্রোঞ্চ ও ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পয়সা উদ্ধারের ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।