দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় তুলা চাষে উদ্বুদ্ধকরণে কৃষক র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের মাঠে তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার। এ সময় তিনি বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। মানুষের মৌলিক পাঁচটি চাহিদার একটি হলো বস্ত্র। বস্ত্র উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হলো তুলা। দেশে চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ তুলা উৎপাদিত হয়। বাকি ৯৭ শতাংশ আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি। সুতরাং তুলা উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তুলা উৎপাদনে জড়িত কৃষকরা পতিত জমি ও বিভিন্ন বড় বড় বৃক্ষ সংশ্লিষ্ট বাগানের ফাঁকা জমিতে তুলার আবাদ করবেন। যেন এক ইঞ্চি জমিও পড়ে না থাকে। সকল জমিকে চাষের আওতায় আনা হলে আমরা আরো বেশি কৃষিতে সমৃদ্ধ হবো। তুলার এখন হারভেস্টিং করার সময়। আপনারা চাষের জমিতে নিয়মিত সেচ দেবেন। সেচ দিলে অবশ্যই কয়েক মণ তুলা বেশি পাবেন। নিয়মিত তুলা গাছে ফলিয়ার দেবেন তাহলে তুলা গাছের মাথার বল গুলো ফেঁটে তুলা বাহির হবে। ফলে ফলন বৃদ্ধি পাবেন। তুলা হরভেস্টিং করে মাঁচার ওপর সংরক্ষণ করবেন এতে তুলার গুণগত মান ঠিক থাকবে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক সহকারী জিনিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা অতিরিক্ত কৃর্ষি কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গার প্রধান কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ, তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা ইজাজুল ইসলাম, কটন ইউনিট কর্মকর্তা বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস, আমজাদ হোসেন, সোয়ণ চন্দ্র বর্মণ, সাজিদ মিয়া, আনন্দ মধু। কৃষক র্যালি ও আলোচনাসভায় তুলা উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গা জোনের দামুড়হুদা, আলুকদিয়া, হেমায়েতপুর, চুয়াডাঙ্গা সদর, কার্পাসডাঙ্গা, দর্শনা কটন ইউনিটের মোট ৮০জন তুলা চাষি অংশগ্রহণ করেন। এবার চুয়াডাঙ্গা জোনে প্রায় ৮০ হাজার মণ তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।