দামুড়হুদায় খোলা বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ওষুধ 

 

মিরাজুল ইসলাম মিরাজ: দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামগুলোতে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে সরকারি ওষুধ। বিষয়টি যেনো দেখেও দেখেন না দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই গ্রাম্য কিছু অসাধু হাতুড়ি চিকিৎসকরা পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন সরকারি ওষুধ। শুধু কি সরকারি ওষুধ বিক্রি? করছেন নানা রকম অস্ত্রোপচার। গ্রাম্য কিছু অসাধু নামসর্বস্ব হাতুড়ি চিকিৎসকদের দুঃসাহসিকতার জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সর্বসাধারণকে। সচেতন মহলের ধারণা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলার জন্যই কিছু অসাধু লোকজন এ সুবিধা নিচ্ছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আমির হোসেন একই গ্রামের স্কুলপাড়ার আব্দুর রশিদের (৫৮) পা কেটে গেলে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে চিকিৎসা দেন। ওই সময় আব্দুর রশিদকে চিকিৎসা দিয়ে সরকারি কিছু ওষুধ দেন এবং বিনিময়ে ৪৫০ টাকা নেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ। গতকাল বুধবার সকালে ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ ওষুধগুলো নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসা নিতে এলে বিষয়টি সামনে আসে সকলের। ওই সময় তিনি ওনার এক নিকটাত্মীয়কে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। তখন মুখে মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ইতোমধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে গ্রাম্য চিকিৎসক আমির হোসেন বলেন, তার পা কেটে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দিই। ওই সময় আমার কাছে থাকা কিছু সরকারি ওষুধ আমি তাকে দিয়ে আসি। তবে ওষুধ বাবদ আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমি আমার পারিশ্রমিক ও চিকিৎসা সেবার জন্য ৪০০ টাকা নিয়েছি। আমি কোনো সরকারি ওষুধ বিক্রি করিনি।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা জাহাঙ্গীরের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন। পরক্ষণে আবারও কল দেয়া হলে ফোন কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, দামুড়হুদা উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে প্রায়শই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। তবে সরকারি ওষুধ বিক্রি ও চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে। তাদের এই নিশ্চুপ নীরবতার কারণ জানে না কেউই। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা।

Comments (0)
Add Comment