দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা পাখিভ্যান চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশ উদ্ধার করেছে ১টি ইঞ্জিন চালিত আলমসাধু ও ২টি পাখিভ্যান। গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলায় পৃথক অভিযান চালায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩১ আগস্ট আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা শহরের চৌরান্তা মোড় সংলগ্ন শহিদুল ইসলাম মার্কেট গ্রামীণ টাওয়ারের সম্মুখে পাকা রাস্তার ওপর থেকে একটি পাখিভ্যান চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোরে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদরের গুলশানপাড়া গ্রামের মো. মিজানুর হকের স্ত্রী মোছা. আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুরি যাওয়া পাখিভ্যান উদ্ধারে কাজ শুরু করে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্তে দামুড়হুদা মডেল থানায় পেনাল কোর্ড আইনে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নং ২২। মামলা রেকর্ডের পরপরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মো. আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ও এএসআই তুহিন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় পৃথক অভিযান চালায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ২টি পাখিভ্যান ও ১টি ইঞ্জিন চালিত আলমসাধু। ঘটনার সাথে জড়িত ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু থানার রঘুনাথপুর গ্রামের সঞ্জের আলী মন্ডলের ছেলে শিপন (৩০), কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মধুপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে আবুল হোসেন (২২) ও একই জেলার কুমারখালি থানার বেলনগর গ্রামের মতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রুবেলকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা রেকর্ডের পরপরই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি পাখিভ্যান ও একটি আলমসাধু উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।