দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড. আবু তালেবকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে ও ব্রাকমোড়ে পৃথকভাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল যুবলীগ নেতা অ্যাড. আবু তালেবকে মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। বক্তারা দাবি করে বলেন, অ্যাড. আবু তালেব থানাতে ঘটনার দিন অফিসার ইনচার্জ (ওসির) অফিস রুমে অবস্থান করছিলেন। এসময় থানার গেটে দামুড়হুদা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে নিহত ইসরাফিল মোল্লাদের বাগবিত-া শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ অ্যাড. আবু তালেব থানার বাইরে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন যা ভিডিও ফুটেছে স্পষ্ট। কিন্তু তারপরও দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড থেকে দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও অ্যাড. আবু তালেবকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এবং ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে দোষী সাবস্ত হওয়ায় থানায় আটকে রাখেন। এসময় অ্যাড. আবু তালেবের কোনো দোষ না থাকায় থানার অফিসার ইনচার্জ তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু এরই কিছুক্ষণ পরে একটি রাজনৈতিক কুচক্রী মহল সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অ্যাড. আবু তালেবের নাম মামলার অন্তর্ভুক্ত করে ২নং আসামি করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।
অ্যাড. আবু তালেবের ছোট ভাই সাবেক মেম্বার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই একজন আইনজীবী হওয়ার সে ওইদিন থানায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় থানা গেটে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। যে ঘটনার সাথে আমার ভাই জড়িত নয়, যা ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্রে স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আগামী দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার ভাই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এলাকায় তার ব্যাপক গণজোয়ার থাকায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অবিলম্বে আমার ভাইয়ের নামে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশত মুক্তির দাবী করছি।
অ্যাড. আবু তালেবের বড় ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন তার বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সালিস বৈঠক বসে। সালিস শেষে থানার গেটে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে নিহত ইসরাফিল মোল্লা গংয়ের বাগবিত-া সৃষ্টি হয়। এসময় আমার বাবা অ্যাড. আবু তালেব ওসি স্যারের অফিস কক্ষে বসা অবস্থায় জানতে পারেন যে থানার বাইরে একটা ঝামেলা হচ্ছে। তিনি বাইরে এসে ভাইস চেয়ারম্যান ও নিহত ইসরাফিল মোল্লা গংকে সরিয়ে দিয়ে বিষয়টা মিটিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর দামুড়হুদা থানা পুলিশ দামুড়হুদা বাসস্টান্ড এলাকা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও অ্যাড. আবু তালেবকে থানায় নিয়ে যান। ঘটনার সাথে আমার বাবা জড়িত না থাকায় ওসি স্যার আমার বাবাকে ছেড়ে দেন। এবং ওই দিন রাতেই কতিপয় কিছু কুচক্রী মহল তাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে হত্যা মামলায় আমার বাবার নাম ঢুকিয়ে দেয়। এবং শুক্রবার গভীর রাতে থানা পুলিশ আমার বাবাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আমার বাবার নিঃশত মুক্তি চাই।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাড আবু তালেবের ছোট ভাই সাবেক মেম্বার জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ভূইয়া, জহুরুল ইসলাম ফকির, শাহিন, অ্যাড. আবু তালেবের বড় ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।