দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার লোকনাথপুরস্থ সৌদিয়ান রিসোর্টের নাইটগার্ড খাইরুল ইসলাম পরস্ত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকা-ে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্থানীয়রা হাতে নাতে আটক করে তাদের। এ সময় গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় তাদের ওপর। শুক্রবার ভোর রাত আনুমানিক ২টার দিকে দামুড়হুদার লোকনাথপুর সৌদিয়ান রিসোর্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই রাতেই রিসোর্ট মালিক উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে দেন। পরদিন শনিবার ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে স্থানীয়দের মাঝে। শনিবার বিকেলে স্থানীয়রা ভিড় জমান রিসোর্টের সম্মুখে। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুরস্থ সৌদিয়ান রিসোর্টের নাইটগার্ড কাদিপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম জনৈক্য গৃহবধূর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্থানীয়রা তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উত্তম মধ্যম গণধোলাইয়ের পর গাছে বেঁধে রাখে। এরপর রিসোর্ট মালিক কাদিপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানকে ডাকা হয় ঘটনাস্থলে। স্থানীয়দের চাপের মধ্যে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে দেন রিসোর্ট মালিক। পরদিন শনিবার সকালে শুক্রবার রাতের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে লোকনাথপুর গ্রামবাসীদের মাঝে। একপর্যায়ে শনিবার বিকেলে উত্তেজিত জনগণ ভিড় জমান লোকনাথপুরস্থ সৌদিয়ান রিসোর্টের সামনে। এ সময় রিসোর্টের মালিক মতিয়ার রহমানের সাথে উচ্চবাচ্য বিনিময় হয় একটি রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। এ সময় ওই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রিসোর্ট ভেঙে দেয়ার হুমকি ধামকি দেয়। বিষয়টি কাউন্টার দেন স্থানীয় অপর একটি পক্ষ। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সৌদিয়ান রিসোর্টের মালিক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত খাইরুল ইসলাম আমার এখানে নাইটগার্ডের কাজ করছে। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর স্থানীয়দের ডাকে আমি ঘটনাস্থালে যায়৷এ সময় স্থানীয়রা বলে আমি যেন নাইটগার্ডকে আমার রিসোর্ট থেকে বের করে দিই। সাথে সাথে আমি নাইটগার্ডকে রিসোর্ট থেকে বের করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি রাতেই সমাধান হয়ে গিয়েছিলো। পরদিন শনিবার একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এসে রিসোর্ট ভেঙে দেয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছিল। তাদের এ ধরনের কথাবার্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন স্থানীয় আরো একটি পক্ষ। পরে বিষয়টি মিটে গেছে। যদি রিসোর্টে তেমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।