দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরের শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানী কাল

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃঞ্চপুর গ্রামের শিশু সুমাইয়া আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরে শেষ হয়নি। আগামী ৯ এপ্রিল মামলাটির যুক্তিতর্কের দিনধার্য রয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি মোমিনুল বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী আছে। এদিকে দীর্ঘ ছয় বছরেও মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শিশু সুমাইয়ার মা পলি খাতুন পরিবারের পক্ষ থেকে মামলটি দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষী ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেছেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের নাছিরুল ইসলামের মেয়ে ও ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে রাত ৯টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীত পাশে মো. আইয়ুব আলীর শিমক্ষেতের দিকে কয়েকটি কুকুর ডাকাডাকি করতে থাকায় চৌকিদারসহ এলাকাবসীরা শিমক্ষেতে যায়। সেখানে শিমক্ষেতের মাচার নিচে শিশু সুমাইয়ার উলঙ্গ অবস্থায় এবং পরনের পায়জামা দিয়ে মুখবাধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে; খবর পেয়ে সুমাইয়ার পিতা মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা জিনিসপত্রের সূত্র ধরে বখাটে মোমিনুল ইসলামকে আটক করা হয়। মোমিনুল সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও শ^াসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা নাছিরুল ইসলাম বাদী হয়ে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলামকে (১৭) একমাত্র আসামি করে দামুড়হুদা থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দামুড়হুদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান মোমিনুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার আসামি মোমিনুল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, চাঞ্চল্যকর শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানীর দিনধার্য রয়েছে। মামলাটি শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করছি।