স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার দেউলী গ্রামে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত সরকারি ড্রেন বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ ও গোল চত্বর উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করার পরও থেমে নেই প্রভাবশালীরা। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দেউলী গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দেন আব্দুল মান্নানের ছেলে মকলেসুর রহমান মুকুল। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দেউলী গ্রামের মসজিদপাড়ার আলারদ্দীন (৬০) ও তার ছেলে আরিফ (৩৫) তাদের জমির সীমানা অতিক্রম করে সরকারি পাকা ড্রেন বন্ধ করে সেখানে থাকা একটি বটগাছের চারপাশে মানুষের বসার জন্য সরকারি গোল চত্বরটি ভেয়ে ওই ইট দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। বিষয়টি তাদের নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ মারমুখি আচরণ করে এবং হুমকি ধামকি দেয়। সরকারি জমিতে থাকা পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি পুনরায় চালু করার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান। এ সময় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি সচল করে দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩ জন সার্ভেয়ার সরকারি জমি মাপজোপ করা শেষে তাদের সুবিধামতো না হওয়ায় তারা সার্ভেয়ারদের সাথে খারাপ আচরণ করে হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। পুনরায় তারা পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে মৌখিকভাবে জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। লিখিত অভিযোগের পর গত ৯ মার্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে দেয়া একটি চিঠিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পেয়েছি। অ্যাসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।