দামুড়হুদার জয়রামপুর রেলস্টেশনে সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় জয়রামপুর রেলস্টেশনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে জড় হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ। এসময় তারা ট্রেন থামাতে প্লাটফর্মে প্লেকার্ড হাতে অবস্থান করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার (ওসি) মো হুমায়ুন কবির ও সেনাবাহিনীর একটি চৌকস টিম। পরিস্থিতি সমাল দিতে কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন তারা।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে সাবেক সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী বলেন, ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে আগে স্টেশন মাস্টার ছিল, স্টাফদের থাকার জায়গা ছিল, গেটম্যান ছিল। এখান এখানে আর কিছুই নেই। স্টেশনটি বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা চাই স্টেশনটি পুনরায় আবার নতুন করে চালু করা হোক এবং সাগরদাড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ এবং ডাউন স্টপেজ চালু করা হোক।
জয়রামপুর মানবকল্যাণ যুব সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে গেট ম্যান না থাকার কারণে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ-অকালে ঝরে গেছে। এই স্টেশনটিতে স্টেশন মাস্টারসহ কোনো লোকজন নেই। কিন্তু এক সময় এই ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর রেল স্টেশনে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে। ১৮৬২ সালে গেদে থেকে কুষ্টিয়া জগতি রেললাইন চালু হয়। তখন থেকেই জয়রামপুর রেল স্টেশন জমজমাট ছিলো। এই অঞ্চলে প্রায় দুই লাখের অধিক মানুষ এই রেল স্টেশন ব্যবহার করতো। এখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জয়রামপুর গুড়েরহাট যেখান থেকে সারা বাংলাদেশে ট্রেনের মাধ্যমে খেজুরের গুড় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হতো। স্থানীয় অর্থকরী কৃষি ফসল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রেনের মাধ্যমে এ স্টেশন থেকে প্রেরণ করা হতো। যা এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ আছে। অতিদ্রুত এই স্টেশনে স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যানসহ সাগরদাড়ি ও কপোতাক্ষ ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজ দাবি করছি। সেই সাথে দাবি না মানা হলে আরো কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।