দামুড়হুদা ব্যুরো : দামুড়হুদার কোষাঘাটাস্থ বিল্ড ইটভাটায় মুখোশ পরিহিত ৪ জন দূর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে কামাল হোসেন নামের এক নৈশ প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আহত নৈশ প্রহরীকে মূমুর্ষূ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার দিনগত রাত ৩ টার দিকে দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ধারে বিল্ড নামক ইটভাটায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে কামাল হোসেন (৪৪) এবং একই গ্রামের মাজেদ আলী শেখের ছেলে প্রতিবন্ধী মোজাহার শেখ (৫৫) দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ধারে কোষাঘাটাস্থ বিল্ড নামক ইটভাটায় দির্ঘদিন যাবত নৈশ প্রহরীর কাজ করে আসছেন। অন্যান্য দিনের ন্যায় গত সোমবার রাতে নৈশ প্রহরী কামাল ও মোজাহার ইটভাটার গোলঘরে শুয়ে ছিলেন। রাত ৩ টার দিকে মুখোশ পরা অবস্থায় ৪ জন ব্যক্তি ইটভাটায় প্রবেশ করে। এ সময় ওই দূর্বৃত্তরা নৈশ প্রহরী প্রতিবন্ধী মোজাহারকে চড়-থাপ্পড় মারে এবং কামাল হোসেনকে গোলঘরের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আহত কামালকে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিল্ড ইটভাটার ম্যানেজার দুলালের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা। আপনি মালিকের সাথে কথা বলেন। আহত কামালের ভাই রাজন জানান, হামলাকারী ৪ জনের মধ্যে আমার ভাই ২ জনকে চিনতে পেরেছে। একজন পুড়াপাড়ার শফি এবং অপরজন ফকিরপাড়ার তুফোন। তবে অভিযুক্ত শফি বলেছেন, আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি ওই রাতে নি
জ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। তাছাড়া ওই ইটভাটার মধ্যে গরুর ফার্ম রয়েছে। সংঘবদ্ধ গরুচোরচক্রও ওই ঘটনা ঘটাতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত সোমবার দিনের বেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আহত কামালের ছেলেকে আমি চড়-থাপ্পড় মারি। পরে কামাল আমার বাড়িতে এসে বিশ্রিভাষায় গালাগালি করে। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে শাসিয়ে যায়। তৃতীয় কোন পক্ষ এই সুযোগ নিয়ে কামালকে কুপিয়ে আমার ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কী না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ আহত কামালের ভাইয়ের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়ি। আমি কেন তাকে মারতে যাবো। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তৌহিদুর রহমান শেখ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।