বেগমপুর প্রতিনিধি: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে দর্শনা থানা বিএনপি শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা গেছে যে, আপনারা দলীয় গঠণতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা বিঘিœত হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণœ হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্রের আলোকে এবং দলের স্বার্থ রক্ষার্থে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাদেরকে বিএনপির সভাপতি (মিলন মিয়া), সহ-সভাপতি (আব্দুল খালেক) ও সাধারণ সম্পাদক (আবুল হাশেম টোটন) পদ থেকে স্থাীয়ভাবে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি ও ভিজিডি’র কার্ড করা নিয়ে গত শনিবার বহিষ্কৃত তিনজন তাদের লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইউনিয়নের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিককে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী বাদী হয়ে ৩৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫জনের নামে দর্শনা থানায় একটি নিয়মিত মামলা করেন। যে মামলার এজাহারনামীয় আসামি মিলন মিয়া, আব্দুল খালেক ও আবুল হাশেম টোটন। রফিক হত্যা ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কারের জোরালো দাবি ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখতে এ তিনজনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা বিএনপি। এদিকে রাতেই তাদের বহিষ্কারের খবর তিতুদহ ইউনিয়ন এলাকায় পৌছুলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। কারণ হিসেবে অনেক নেতা-কর্মীরা জানান, মিলন, খালেক ও টোটন দলীয় পদ পাবার পর থেকে ধরাকে সরাজ্ঞান করে আসছিলেন। তাদের কারণে তিতুদহ ইউনিয়নের দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।