স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার এসআই সুজনের বিরুদ্ধে রকি হোসেন নামের এক যুবককে আটক করে মারধর ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার এসআই সুজনের বিরুদ্ধে গড়াইটুপি গ্রামের মসজিদ পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে রকি হোসেন নামের এক যুবককে আটকের পর তার উপরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে জৈনক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। আটকের পরের ঘটনায় দর্শনা থানায় তাকে রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করাসহ গতকাল ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন রকি হোসেন নামের ওই যুবক। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নাকি থানায় অভিযোগ আছে। সে কারণে আমাকে ব্যাপক মারধর করে গতকাল ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মুচলেকা লিখে ছেড়ে দিয়েছেন। খুব কষ্ট করে ওই টাকা ম্যানেজ করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়েছে। তার আগে কিন্তু পুলিশ আমাকে কোনপ্রকার নোটিশ না দিয়েই আকস্মিকভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের সোর্স দিয়ে ব্যাপক মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করে। পরে গতকাল মঙ্গলবার আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এবং মুচলেকা লিখে নিয়ে ছাড়ে এবং নানারকম ভয়ভীতি দেখায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দর্শনা থানার এসআই সুজন আলী বলেন, রকির বিরুদ্ধে সাহাবুদ্দিন হোসেন নামের একজনকে মেরে হাতভেঙে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য তাকে তুলে নিয়ে আসা হয়। পরে মুচলেক নিয়ে ছাড়া হয়েছে। এদিকে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন ১৫ হাজার টাকা বিবাদীর চিকিৎসা বাবদ নিয়ে তাদের দিয়ে আপোষ করা হয়েছে। তারপর ছাড়া হয়েছে।