স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় এ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। দুগ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ঘটনায় দোকানপাট ও ক্লাবঘর ভাঙচুরসহ উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত ও জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দর্শনার কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাফিজুর রহমানের সমর্থকরা মোটরসাইকেল শো-ডাউন বের করে। এ সময় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান সংগঠনের (সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৌমিক হাসান রুপম) সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে উভয়পক্ষের মধ্যে। হামলায় কয়েকজন আহত হন। রাতেই ইউনিয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে। পরে দর্শনা থানার সামনে আরেক দফায় চটকাতলা এলাকায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা শহর টহল দিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে। ধীরে ধীরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দর্শনার থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে। পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এ ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কেরুজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের দুপক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ভালো চোখে দেখেনি দর্শনাবাসী।